Shovon Study

Education News Website

স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

কোটা সংস্কারের আন্দোলনের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ সকল ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এই অবস্থায় স্কুল কলেজ কবে খোলা হবে তা নিয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা হতাশার মধ্যে রয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ অনেক অংশে ফিরে আসছে,

আবার কিছু কিছু জায়গা পরিবেশ খুবই খারাপ হচ্ছে। এখনো সারা দেশে কারফিউ জারি হয়েছে। তবে তা দিনের বেলা শিথিল করা হলো রাতের বেলা চলছে।

আরও পড়ুনঃ

এই অবস্থায় স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবংস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠক করার মাধ্যমে জানিয়েছে স্কুল খোলার ব্যাপারে।

মূলত বর্তমানে স্কুলে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছিল। যেখানে কয়েকটি পরীক্ষা এখনো বাকি রয়েছেন।

তাছাড়া কলেজ পর্যায়ে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে, অনেকগুলো পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সামনে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এখন খুব শীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে চাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

জানিয়েছে আমরা নিরাপত্তা ও ঝুঁকি বিবেচনায় ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থাৎ স্কুল কলেজ খুলে দিতে চাই।

এর আগে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কারফিউজ বিষয় নিয়ে কথা বলেন এবং পরবর্তীতে জানান আমরা শিক্ষক দিচ্ছেন খুলতে চাই।

সে পরিবেশে আসার সাথে সাথে আমরা খুলে দিব। এক্ষেত্রে প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয় আমরা খুলতে চাচ্ছি।

তবে এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন শিক্ষামন্ত্রী এখন সিদ্ধান্ত নেবে, কবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

খুলবে এরপরে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন কবে মাধ্যমিক খুলবে এবং পরবর্তীতে কবে কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিবে।

তবে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তাছাড়া সকল ইনস্টিটিউট খোলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দ্রুতই আসবে এবং জানানো হবে কবে কোন প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে।

তবে স্বাভাবিকভাবে আরো এক সপ্তাহ লাগতে পারে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলছি তারা চাচ্ছিল তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন স্কুল কলেজ খুলে

পাঠদান কার্যক্রমে পরিবেশ তৈরি করা হয়। তবে যদি আবার কোটা সংস্কার আন্দোলন বেড়ে ওঠে তাহলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।

মূলত নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকের কারণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং আন্দোলনের যদি তীব্রতা বাড়ে,

তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তা চুকে আরও বাড়বে যার কারণে তারা বন্ধই রাখছে এবং খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *